নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির তদন্ত কমিটি।
রোববার (৫ জুন) বিলের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ।
তিনি জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর মিটার রিডিং ছাড়াই বিদ্যুৎ বিল তৈরি শুরু করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এরপর অস্বাভাবিক বিলের বোঝা চাপে অনেক গ্রাহকের ওপর। কারো কারো বিল এসেছে ব্যবহারের কয়েকগুণ।
সারা দেশে ৬১ হাজার ২৬৫ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। গ্রাহকদের ভোগান্তির জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।
বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ জানিয়েছেন, একজন গ্রাকের কাছ থেকেও বাড়তি অর্থ নেয়া হবে না। আদায় করা অতিরিক্ত বিল সমন্বয় হচ্ছে জুন মাসের বিলে।
বিদ্যুৎ সচিব আরো জানান, এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠির জবাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিপিডিসি, ডেসকো, নেসকো ও ওজোপাডিকো। আর এই চার প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও মিটার রিডারসহ নানা পদের অন্তত ২৯০ কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। বাকি দুই কোম্পানি-পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ এখনও কোনো জবাব দেয়নি।
প্রকৃত দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতের তাগিদও দেন বিদ্যুৎ সচিব। আগামীতে মিটার রিডিং ছাড়া কোনো বিল করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনার দুঃসময়ে দেশে বিতরণ কোম্পানিগুলোর এমন কাণ্ডে দেখা দেয় তুমুল বিতর্ক। এ অবস্থায় অভিযোগ তদন্তে দুইটি টাস্কফোর্স গঠন করে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ বিতরণের ছয় কোম্পানির কাছে বাড়তি বিলের কারণ এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা জানতে চিঠি দেয় টাস্কফোর্স।